সন্মিলিত মাতৃসুধার ধারা বইছে হিউম্যান মিল্ক ব্যাঙ্কে
ওয়েব ডেস্কঃ
উত্তর-পূর্ব ভারতের প্রথম হিউম্যান মিল্ক ব্যাংক (Human Milk Bank) তৈরি হল গুয়াহাটির সত্রিবাড়ি খ্রিস্টান হাসপাতালে। সত্রিবাড়ি খ্রিস্টান হাসপাতাল এবং রোটারি ক্লাব অরগানাইজেশন (Rotary Club Organization) USAর যৌথ উদ্যোগে তৈরি হল এই মাতৃদুগ্ধ ব্যাংক। সদ্যোজাত শিশুদের পর্যাপ্ত পুষ্টি ও মৃত্যুর হার কমানোর জন্য এই দুগ্ধ ব্যাংক নিওনেটাল কেয়ারের ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা গ্রহণ করবে।
প্রসূতি মায়েদের জন্য নিওনেটাল কেয়ার ইউনিটে (NICU) ব্রেস্ট পাম্পের সুবিধা থাকলেও মাতৃদুগ্ধ পাস্তুরাইজেশন (Pasteurize) এবং সংরক্ষণের কোনও রকম সুযোগ সুবিধা ছিল না এর আগে। এর ফলে যে সমস্ত শিশুর সদ্যপ্রসুতি মা বিভিন্ন কারনে স্তন্য পান করাতে পারতেনে না অথবা যেসব মা দের পর্যাপ্ত স্তন্যদুগ্ধ উৎপন্ন হত না তাদের সন্তানের পুষ্টির জন্য সেই সব শিশুদের ব্রেস্টফিডিং সেন্টারে (Breast Feeding Centere) নিয়ে যেতে হত। সেখানে অনেক সময় মা দের অসুস্থতার দরুন নানান রকম জীবাণু সংক্রমণ স্তন্যপান পানের ফলে সংক্রমিতও হত শিশুর মধ্যে। তারওপর সদ্যোজাত শিশুদের দিনের বেশ কিছুটা সময় মায়ের থেকে দূরে থাকতে হত।
এই হিউম্যান মিল্ক ব্যাংক তৈরি হওয়ার ফলে সেই সমস্যা এড়ানো যাবে। গুয়াহাটির সত্রিবাড়ি খ্রিস্টান হাসপাতালে প্রতি মাসে প্রায় ১০০ টিরও বেশি শিশুর জন্ম হয়। এর ফলে ওই হাসপাতালে মায়েদের দান করা দুধ সংগ্রহ করে তা পাস্তুরাইজ ও সংরক্ষণ করে রাখা যাবে ছয় মাস। সত্রিবাড়ি খ্রিস্টান হাসপাতালের পেডিয়াট্রিক এবং নিওনেটাল কেয়ার স্পেশালিস্ট ডঃ দেবজিত শর্মা বলছেন সদ্য প্রসূতি মায়েদের মধ্যে সচেতনতা তৈরি করে তাদেরকে দুগ্ধদানের জন্য অনুপ্রাণিত করলে এই হিউম্যান মিল্ক ব্যাংক সাফল্য পাবেই। এই সচেতনতা ও দুগ্ধ দানের জন্য অনুপ্রানিত করতে সদ্য প্রসুতিদের এগিয়ে আসা জরুরী।